ব্রেকিং নিউজ
পাইকগাছায় সাবেক ইউপি সদস্যের রুহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত রংপুরের সুধী সমাজ ও রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দের সমন্বয়ে পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত হাজীগঞ্জে বিয়ের ৪ মাসের সন্তান প্রসব নববধূ আগামীকাল রবিবার এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ , জানা যাবে যেভাবে পাইকগাছায় লবন পানি বন্ধের দাবীতে পথসভা অনুষ্ঠিত দাকোপে হকার্স ইউনিয়নের আহবায়ক কমিটি গঠন
×

ইসলামী ডেস্ক
প্রকাশ : ৩/৩/২০২১ ১২:৩৮:৫১ PM

আমদানিতে ধীরগতি, ফের বাড়ছে চালের দাম

এছাড়া মোটা চাল ইরি ও স্বর্ণা বিক্রি হচ্ছে ৪৪ থেকে ৪৮ টাকায়। সরকারের এই বিপণন সংস্থার হিসাবেই গত এক বছরে মোটা চালের দাম ৩৭ দশমিক ৩১ শতাংশ, সরু চালের দাম ৯ দশমিক ৬৫ শতাংশ এবং মাঝারি মানের চালের দাম ১৪ শতাংশ বেড়েছে।

চালের দাম আবার বাড়ছে। বিশেষ করে সরু ও মাঝারি মানের চাল সোমবার কেজিতে ২ থেকে ৩ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, সরকার বাজার স্থিতিশীল রাখতে চাল আমদানির উদ্যোগ নিলেও অত্যন্ত ধীরগতিতে আসছে সেই চাল।

আর এর সুযোগ নিচ্ছে কারসাজি চক্র। এদিকে ভোজ্য তেলের বাজারে অস্থিরতার মধ্যে চালের দাম বাড়ায় বিপাকে পড়েছেন ভোক্তারা।

সরকারের বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) হিসাবে গতকাল রাজধানীর খুচরা বাজারে প্রতি কেজি সরু চাল নাজিরশাইল ও মিনিকেট ৬০ থেকে ৬৫ টাকা এবং মাঝারি মানের চাল পাইজাম ও লতা ৫০ থেকে ৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া মোটা চাল ইরি ও স্বর্ণা বিক্রি হচ্ছে ৪৪ থেকে ৪৮ টাকায়। সরকারের এই বিপণন সংস্থার হিসাবেই গত এক বছরে মোটা চালের দাম ৩৭ দশমিক ৩১ শতাংশ, সরু চালের দাম ৯ দশমিক ৬৫ শতাংশ এবং মাঝারি মানের চালের দাম ১৪ শতাংশ বেড়েছে।

কিন্তু এখন আবার চালের দাম বাড়ছে কেন—এ প্রশ্ন ভোক্তাদের। মিলের মালিকেরা বলেছেন, গত বছর মহামারি করোনার মধ্যে দেশে চার দফা বন্যার কারণে আমনের উত্পাদন কম হয়েছে। তাই ধানের দাম বেশি। এর প্রভাব পড়েছে চালের বাজারের ওপর।

আগামী বোরো মৌসুমের চাল বাজারে না আসা পর্যন্ত অবস্থার পরিবর্তন হবে না। আর সাধারণ চাল ব্যবসায়ীরা বলেছেন, বাজারে ধানের সরবরাহ কম থাকার সুযোগে মিলাররা চালের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন।

তারা বলেন, চালের দাম কমানোর জন্য বাজারে যে পরিমাণ চালের সরবরাহ প্রয়োজন, তা নেই।

এদিকে পৃথক সূত্র জানিয়েছে, আমনের উত্পাদন কম হওয়ার পাশাপাশি সরকারের গুদামে মজুতকৃত খাদ্যশস্যের পরিমাণ এখন গত কয়েক বছরের তুলনায় কম।

এ অবস্থায় বাজারে চালের সরবরাহ বাড়াতে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে ১৬ লাখ টন চাল আমদানির উদ্যোগ নেওয়া হলেও এখন পর্যন্ত মাত্র ১ লাখ ১০ হাজার টন চাল আমদানি করা হয়েছে। এর মধ্যে বেসরকারিভাবে আনা হয়েছে মাত্র ৬৪ হাজার টন চাল।

অথচ গত ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে বেসরকারিভাবে ১০ লাখ টন চাল আমদানির সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। এর আগে গত ২৭ ডিসেম্বর চালের আমদানি বাড়াতে আমদানি শুল্ক ৬২ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশ করা হয়।

সূত্র জানিয়েছে, চাল আমদানির ধীরগতিতে একটি চক্র কারসাজি করে চালের দাম বাড়াচ্ছে। এছাড়া বেসরকারিভাবে যাদের চাল আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে, তাদের বেশির ভাগই মিলের মালিক।

তাদের একটি অংশ ইচ্ছাকৃতভাবে ধীরগতিতে চাল আমদানি করছে, অন্যদিকে চালের দাম বাড়িয়ে চলেছে। ফলে দেশের বাজারে দফায় দফায় দাম বাড়ছে। তবে চাল আমদানিকারকেরা বলেছেন, আমদানির অনুমতি দেওয়ার পর ভারতসহ আন্তর্জাতিক বাজারে চালের দাম বেড়েছে। এছাড়া সীমান্তে জ্যামসহ বিভিন্ন কারণে ভারত থেকে চাল আসতে দেরি হচ্ছে।

চলতি সপ্তাহে প্রকাশিত মার্কিন কৃষি বিভাগের (ইউএসডিএ) গ্লোবাল এগ্রিকালচারাল ইনফরমেশন নেটওয়ার্কের (গেইন) এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি অর্থবছরে (২০২০-২১) বাংলাদেশে চালের উত্পাদন হবে ৩ কোটি ৪৮ লাখ টন, যা আগের অর্থবছরের চেয়ে প্রায় সাড়ে ১০ লাখ টন কম।

আমদানি করেই এই ঘাটতি পূরণ করতে হবে বলে ‘গ্রেইন অ্যান্ড ফিড আপডেট’ শীর্ষক এই প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে